প্রথমেই কিছু তথ্য জেনে নেই, left-sidebar

যখন ওয়েবসাইটগুলি প্রথম তৈরি করা হয়েছিল, ডেভেলপাররা সেগুলি ডেস্কটপগুলির জন্য তৈরি করেছিলেন। কিন্ত, 

বর্তমানে জনপ্রিয় ডিভাইস এর নাম স্মার্টফোন / মোবাইল ফোন। স্মার্টফোন / মোবাইল থেকে ওয়েবসাইটে ভিজিটের সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। দেখা যায়, ২০১৯ সালে মোট ওয়েবসাইট ভিজিট এর মধ্যে ৫৩ শতাংশ স্মার্টেফোন / মোবাইল ব্যবহারকারী। 

তাই বিভিন্ন সার্চ-ইন্জিন বাধ্য করছে ওয়েবসাইট এর মোবাইল ভিউকে গুরুত্ব দেয়ার জন্য।
Google এর সর্বশেষ আপডেটে ওয়েবসাইট এর মোবাইল ভার্সনকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে এবং মোবাইল সার্চ ইন্জিন রেজাল্ট পেজে (
SERP = 
Search Engine Results Pages) যে ওয়েবসাইটগুলোর মোবাইল ভার্সন আছে শুধু সেগুলোকেই স্থান দেয়া হচ্ছে।


Mobile Vs Computer Web Design

সাধারণত ওয়েবসাইট ডিজাইন করা হত ডেক্সটপ এর। পরে ডেভেলপার রা মোবাইল অ্যান্ড ডেক্সটপ এর জন্য আলাদা ওয়েবসাইট ডিজাইন করত। যেমনঃ  

ডেক্সটপ এর জন্য ওয়েবসাইটের লিংকঃ     www.website.com 

মোবাইল এর জন্য ওয়েবসাইটের লিংকঃ     m.website.com

আমরা যদি ইউটিউব এবং ফেসবুক এর লিংক দেখি,


                                                        YouTube                                                             

কম্পিউটারে =    https://www.youtube.com/               
                                    
YouTube Desktop View  

মোবাইলে     =   https://m.youtube.com/               

YouTube Mobile View                         



  কম্পিউটারে =    https://www.facebook.com/ 

Facebook Desktop View
    


মোবাইলে     =  https://m.facebook.com/

Facebook Mobile View

এরপর ২০১০ সালে ইথান মারকটি আনুষ্ঠানিকভাবে রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইন তৈরি করে। এর আগে এটি এত ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল না। তারপর থেকে ক্রমাগত টেকনোলজির উন্নতি হচ্ছে। নিশ্চয়, রেসপন্সিভ ওয়েব ডিজাইন ভবিষ্যতে একটি স্থায়ী ধারনা হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাবে।

রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইন এর মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট মোবাইল বা অন্যান্য ডিভাইস এর জন্য অপটিমাইজ করা হয় যেন ওয়েবসাইটটি বিভন্ন ডিভাইস এ ডিভাইস এর সাইজ অনুযায়ী সুন্দর ভাবে প্রদর্শিত হয়। 

Responsive Website
Responsive web design


এইকারনেই আজ কাল রেস্পন্সিভ ওয়েবসাইট বেশি ব্যাবহার করা হচ্ছে। 

এখন আপনি বলতে পারেন

ওয়েবসাইট এর ডিজাইন যদি রেস্পন্সিভ না হয় তাহলে কি ওয়েবসাইট মোবাইল থেকে দেখা যাবে না? 

অবশ্যই দেখা যাবে,  কিন্তু সেক্ষেত্রে ওয়েবসাইট এর বিভিন্ন অংশ বিছিন্ন দেখাবে এবং ভিজিটর ওয়েবসাইট এর  লেখা বা ছবি ঠিকমত দেখতে পারবে না। ওয়েবসাইটটি লোড হতেও বেশী সময় লাগবে এবং ওয়েবসাইটটি ঠিক ভাবে কাজ করবে না। 

ফলে ভিজিটররা দ্রুত আপনার ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে যাবে এবং আপনার ওয়েবসাইটটি আর ভিজিট করতে চাইবে না। এতে ওয়েবসাইটটির বাউন্সরেট  বাড়বে। বাউন্সরেট  বাড়লে সার্চ ইন্জিন ধরেই নেবে ওয়েবসাইটটি রিলেভেন্ট নাহ। এবং আপনার ওয়েবসাইটটি তার র‌্যাংক হারাবে।

তাই ওয়েবসাইট তৈরীর সময় সম্ভাব্য সব ডিভাইস এবং রেজ্যুলেশন এর উপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইট ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট করতে হবে। আর এটাই হল রেস্পন্সিভ ওয়েব ডিজাইন এর মূল বিষয়।

পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন বিশেষ যোগ্যতা। তাই আপনার ওয়েবসাইটটিকে জনপ্রিয় রাখতে চাইলে অবশ্যই বিভিন্ন ডিভাইস এর জন্য রেস্পন্সিভ করে ওয়েবসাইট তৈরী করতে হবে।

ইন্টারনেটে রেস্পন্সিভওয়েব ডিজাইন সম্পর্কিত অনেক রকম টুল ও রিসোর্স পাওয়া যাচ্ছে সেগুলি ব্যাবহার করতে পাড়েন। এইগুলো সম্পর্কিত জানতে ব্লগটিকে অনুসরণ করতে পারেন।

আলোচক: Nowshen Anjuman Khan

Post a Comment

Previous Post Next Post